এই নাও তোমাদের তিনজনের ফেব্রেট ফ্লেভারের আইসক্রিম।
জিহাদ, জিশান, নাবিহা আইসক্রিম নিয়ে হেসে বলল, থ্যাংকইউ আদীব্বা। যদিও আজ আমাদের তোমাকে আইসক্রিম খাওয়ানো উচিত। বললো নাবিহা।
আদী হেসে বলল, সেটা কেন?
কারণ তুমি বুদ্ধি না দিলে তো পাপা আর মা এত সহজে কথা বলতো না একে অন্যের সাথে। দুইজন দুইদিকে দাঁড়িয়ে থাকতো। হাসি মুখে বললো জিহাদ।
কিন্তু আদীব্বা তুমি তো বললে না আমার অ্যাক্টিং কেমন হয়েছে? প্রশ্ন করলো জিশান।
ফাটাফাটি। আমি তো তোমার ফ্যান হয়ে গিয়েছি। হাসতে হাসতে জবাব দিলো আদী। আসলে তোমরা তো জানোই তোমাদের নানাভাই স্ট্রোক করার পর থেকেই তোমাদের মা মানসিক ভাবে খুব অস্থির। এই মূহুর্তে তোমাদের পাপার সাপোর্ট অনেক শক্তি যোগাবে তোমাদের মাকে।
জিহাদ হেসে বলল, জ্বি আদীব্বা আমরা জানি।
আদীব্বা তুমি কিন্তু অনেকদিন আমাদেরকে পাপা-মামণির ছোটবেলার গল্প শোনাওনি। আদুরে গলায় অভিযোগ করলো নাবিহা।
আদী হেসে বলল, তোমাদের নানাভাই সুস্থ হোক। এরপর হসপিটাল থেকে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে দূরে কোথাও পিকনিকে চলে যাবো সবাই মিলে। সারা সপ্তাহ জুড়ে তোমাদেরকে তোমাদের পাপা-মামণির গল্প শোনাবো ইনশাআল্লাহ। ঠিকআছে?
আনন্দে চিৎকার করে উঠলো তিনজন একসাথে। আদী হেসে বলল, আচ্ছা এখন তোমরা আইসক্রিম খাও। আমি তোমাদের পাপার কাছে যাই। খোঁজ করে না পেলে আবার বুম বুম করবে।
জানোই তো তোমাদের পাপা একমাত্র তোমাদের সাথেই কুল ম্যান। বাকি সবার সাথে উত্তপ্ত লাভার মতো টগবগ করে ফুটতে থাকে।
হেসে ফেললো জিহাদ, জিশান, নাবিহা তিনজনই। চাচ্চুকে বিদায় দিয়ে তিনজন হসপিটালের বাগানের এক কোনে গিয়ে বসলো।
জিশান বলল, তোমাদের আইসক্রিম থেকে একটু একটু টেষ্ট করে দেখি আমি?
নিজের কাছে কোন কিছু থাকার পরেও অন্যের জিনিস দেখে লালায়িত হওয়াকে কি বলে জানো? পরশ্রীকাতরতা।
নাবিহার কথা শুনে জিহাদ আর জিশান দুজনই হেসে ফেললো। জিহাদ নিজের আইসক্রিম ভাইয়ের মুখের সামনে ধরে বলল, নাও খেয়ে দেখো। সাথে সাথে নাবিহাও হাসিমুখে নিজের আইসক্রিম বাড়িয়ে ধরলো।
দুজনের থেকে একটু একটু খেয়ে জিশান খেয়ে বলল, ভ্যানিলা আর স্ট্রবরী ফ্লেবার অনেক মজা। কিন্তু চকলেট সবচেয়ে বেশি মজা।
নাবিহা বলল, সবার কাছেই তার নিজের পছন্দের ফ্লেবার বেশি মজা লাগে। আমার কাছে তো ভ্যানিলা ছাড়া অন্য কোন ফ্লেবার ভালোই লাগে না। ভাইয়া যেমন শুধু স্ট্রবরী ফ্লেবারের আইসক্রিমই খায়।
কিন্তু আমি তো সব ফ্লেবারই খাই। চকলেট ফ্লেবারই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
জিহাদ হেসে বলল, তোমাদের মনে নেই পাপা বলেছিল, সবার পছন্দ এক রকম হয় না বলেই মানুষের জীবনের সৌন্দর্য এত বৈচিত্র্যময়। জীবনে নতুনত্ব প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে দেয় পছন্দের ভিন্নতা। অনেক সময় কোন কিছু শুধুমাত্র আমাদের প্রিয় কারো পছন্দের হবার কারণেই সেই জিনিসটাকে ভালো ভাবে নোটিশ করে দেখি আমরা। আর একটা সময় সেই জিনিসটাই আমাদের খুব প্রিয় কিছুতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এভাবেই আমাদের মন অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সন্ধান পায় নতুন কিছুর।
পাপা কত সুন্দর করে কথা বলে তাই না ভাইয়া? মুগ্ধতা মেশানো স্বরে বললো নাবিহা। ভাইয়া আমিও এখন থেকে তোমার মতো করে পাপার বলা সুন্দর সুন্দর কথাগুলো নোট করে রাখবো।
জিহাদ হেসে বলল, এই আইডিয়াটাও আমি পাপার কাছ থেকেই পেয়েছি। জানো পাপার ছোটবেলার একটা ডায়েরী আছে। ছোটবেলায় সেই ডায়েরীতে পাপা নানাভাই, দাদাভাই, নানুমণি, দাদুমণি সহ অন্যান্য বড়দের সব সুন্দর কথা লিখে রাখতো।
জিশান চোখ বড় বড় করে বলল, কি বলছো ভাইয়া তুমি? এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডায়েরী কিনা পাপা লুকিয়ে রেখেছে আমাদের কাছ থেকে? আজই পাপার সাথে ঢিসুম ঢিসুম হবে।
নাবিহা হেসে বলল, জিশান পাপা কি বলেছিল তুমি কি ভুলে গিয়েছো? সময়ের আগে কোন কিছু পেলে মানুষ সেটার যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারে না। তাই পাপা আমাদেরকে সবসময় সবকিছু যথা সময়ে দেবার চেষ্টা করবেন। ঐ ডায়রীটা দেবার সময় হয়তো এখনো আসেনি তাই পাপা দেখাইনি আমাদের।
কিংবা সময় হয়েছে বলেই পাপা ডায়েরীটা বের করে ড্রয়ারে রেখেছে। যাতে আমরা দেখতে পারি। দেখলেই আমরা খুলে দেখবো ভেতরে কি আছে সেটা তো পাপা জানেনই। হাসি মুখে বললো জিহাদ।
ভাইয়া, নাবিহা তোমরা দুজনই ঠিক বলেছো। পাপা অনেক দুষ্টু একটা ছেলে। আমরা আসলে কখনোই কোন কিছু খুঁজে পাই না। পাপা খুঁজে পাবার পথ তৈরি করে দেয় আমাদেরকে।
তিন ভাইবোন মনের আনন্দে কিছুক্ষণ হাসলো। এরপর নাবিহা বলল, চল আমরা ভেতরে যাই। মামণিকে নাস্তা খাইয়ে নানুমণি আর দাদীকে ফোন করে জানাতে হবে, নাস্তা মিশন ইজ কমপ্লিট।
জিশান উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, হ্যা তাড়াতাড়ি চলো যাই। পনে এগারোটা বাজে। মা’র নিশ্চয়ই ক্ষুধা লেগেছে। আদীব্বা বলেছে গতকাল সারাদিনও মা কিছু খায়নি।
তিনজন তখন উঠে মায়ের কাছে রওনা দিলো।
@
নাস্তা শেষ করে চায়ের কাপের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলো কিন্তু নাবিহার চিৎকার শুনে থেমে গেলো নূহা। রেস্টুরেন্টের জানালায় দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছিল আর ডাকছিল নাবিহা, মামণি তাড়াতাড়ি এসো। তাড়াতাড়ি চলে যাবে তো।
নূহা উঠে দ্রুত কদমে মেয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, কে চলে যাচ্ছে?
নাবিহা হেসে বলল, ঐ যে গোলাপ ঝাড়টার উপরে দেখো কত সুন্দর একটা প্রজাপতি। মামণি চলো নীচে যাই প্রজাপতি ধরবো।
সে কি তোমাদের পাপা এখনো তোমাদেরকে শেখায়নি মুক্ত সৌন্দর্যকে কখনোই হাতের মুঠোয় বন্দী করতে নেই? দুষ্টুমি মাখা স্বরে প্রশ্ন করলো নূহা।
নাবিহা হেসে জবাব দিলো, হ্যা পাপা বলেছো তো আমাদেরকে।
কি বলেছে তোমাদের পাপা?
পাপা বলেছে, যতদিন আমরা কোন সৌন্দর্যকে বন্দী না করে মুক্ত ছেড়ে দেবার সাহস ধরে রাখতে পারি। ততদিন আমাদের জীবনে সাজানো গোছানোই থাকে। কিন্তু যখনই আমাদের মন সংকীর্ণতার কারণে কোন কিছুকে হাতের মুঠোয় পুরে ফেলতে চায়। তখনই জীবন বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। তাই কখনোই সুন্দর কিছুকে বন্দী করতে নেই। এরফলে বড়জোর শুধু বন্দীশালায় একজন বন্দী বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সৌন্দর্য ঝরে পড়ে কারাগারের বাইরেই।
নূহা হেসে বলল, ইয়া আল্লাহ! এমন সব জট্টিল জট্টি্ল কথা বলেন উনি তোমাদেরকে?
চায়ের কাপ হাতে এগিয়ে আসতে আসতে হাসি মুখে জিহাদ বলল, পাপা আরো অনেক বেশি জট্টিল জট্টিল কথা বলে আমাদের মা। পাপার সাথে থাকলে মনেই হয়না আমরা ছোট মানুষ।
ছেলের হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে নূহা হাসতে হাসতে বলল, আমারো আজকাল আর মনেহয় না আপনারা ছোট্ট মানুষ। আব্বাজান, আম্মাজান টাইপ মনেহয়।
জিহাদ আর নাবিহা দুজনই হেসে ফেললো। নূহাও হেসে বলল, জিশান দুষ্টু ছেলেটা কোথায় গেলো?
জিশান আদীব্বার সাথে হসপিটালের বাইরের পার্কে গিয়েছে মা। ওখানে নাকি অনেক স্ট্রবরী গাছ আছে। তোমার জন্য স্ট্রবরী আনতে গিয়েছে। মা চলো আমরা বসি।
নাবিহা বলল, ভাইয়া আমি আর মামণি প্রজাপতি দেখছি তো। এসো তুমিও দেখো কত সুন্দর ঐ প্রজাপতিটা।
জানালার কাছে সরে গিয়ে প্রজাপতি দেখার পর জিহাদ হেসে বলল, কয়েকদিন আগে পাপা আমাদেরকে প্রজাপতি সম্পর্কে বলেছিলো। মা তুমি কি জানো প্রজাপতির ডানায় অনেক ভাগ আছে? সামনের ডানার ডানদিকে আছে ছয়টি ভাগ আর বামদিকে আছে চারটি ভাগ। পেছনের ডানাতেও তাই। সব ভাগের আলাদা আলাদা নামও আছে। নামগুলো ভুলে গিয়েছি আমি।
নূহা হেসে বলল, হুম, তোমাদের পাপার কাছে প্রজাপতির ক্লাস আমিও করেছিলাম অনেক বছর আগে।
তাই? আমাদেরকে তাহলে বলো সেই ক্লাসের গল্প। উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললো নাবিহা।
নূহা হেসে ফেললোও মুখে কিছুই বললো না। চায়ের কাপ হাতে চুপচাপ তাকিয়ে রইলো ফুলের উপরে বসা প্রজাপতির দিকে। বেশির ভাগ মানুষই হয়তো জানে না যে, জীবনকে ঘিরে আবর্তিত প্রতিটি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জিনিসের মধ্যেও স্মৃতি ধারণ করার ক্ষমতা বিদ্যমান। এই মূহুর্তে যেমন ঐ ছোট্ট প্রজাপতির বর্ণিল ডানা অতীতের সোনা ঝরা দিনের বাতায়ন খুলে দিয়েছে নূহার সামনে। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলো ঐ তো জাওয়াদ বাগানের এক কোণে বসে গভীর মনযোগ সহকারে একটি প্রজাপতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ঐ তো চায়ের কাপ হাতে এগিয়ে আসছে সে জাওয়াদের দিকে। পাশে দাঁড়িয়ে বলল, তোমার জন্য চা নিয়ে এসেছি।
প্রজাপতির উপর থেকে দৃষ্টি না সরিয়েই জাওয়াদ প্রশ্ন করলো, কেন?
জ্বি? বেশ অবাক কন্ঠেই প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন করেছিল নূহা।
এবার ঘুরে তাকালো জাওয়াদ। মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল, আইমিন, কেন চা নিয়ে এসেছো? আমি তো চা চাইনি।
মা বলছে চা নিয়ে আসতে তাই নিয়ে এসেছি।
নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি থেকে নিজে যেমন দূরে থাকা উচিত, তেমনি অন্যেকেও দূরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। আর তুমি কিনা একজনের কথায় আরেকজনের জন্য তরল নেশা সাপ্লাইয়ের কাজ করছো!
আচ্ছা ঠিকআছে আমি চা নিয়ে চলে যাচ্ছি।
চা নিয়ে চলে যাচ্ছি মানে? আমার মা এত শখ করে আমার জন্য চা পাঠিয়েছে। আমি সেই চা ফিরিয়ে দেবো তুমি ভাবলে কি করে? তোমার ভাবনার তো সাইকিয়াট্রিক টিট্রমেন্ট প্রয়োজন মনেহচ্ছে।
কিছুক্ষণ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থেকে নূহা বলল, আমি কি চা রেখে যাবো নাকি নিয়ে যাবো?
তুমি চা নিয়েও যাবে না, রেখেও যাবে না।
তাহলে কি করবো?
চা নিয়ে আমার পাশে বসে গুটুর গুটুর করে কথা করবে। এটা চায়ের সাথে নাস্তা না আনার শাস্তি। গরম চায়ে মুড়ির মতো তোমার কথা ছেড়ে দেবো। কিছুক্ষণ ভেজার পর চামচ দিয়ে উঠিয়ে উঠিয়ে খাবো।
আমি কি তাহলে যেয়ে চামচ নিয়ে আসবো?
বায়বীয় নাস্তা খাবার জন্য বায়বীয় চামচ আমার কাছে আছে। তোমাকে তাই টেনশন করতে হবে না। তুমি ঘাসের সিংহাসনে আসন গ্রহণ করো।
বিনা বাক্যে ব্যয়ে নূহা ঘাসের সিংহাসনে আসন গ্রহণ করলো।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে জাওয়াদ প্রশ্ন করলো, প্রজাপতির বৈজ্ঞানিক নাম জানো?
জ্বি জানি। লেপিডপটেরা।
হুমম... দিন দিন সবজান্তা হয়ে যাচ্ছো। আজকাল তোমাকে যে প্রশ্নই করা হয় ফট করে উত্তর বলে দাও।
জ্বি না আমি সবকিছু জানি না। এবং সবকিছু জানতেও চাই না। সবকিছু কি, আমি প্রয়োজনের অতিরিক্তও জানতে চাই না।
জাওয়াদ হেসে বলল, আশ্চর্য তুমি রেগে যাচ্ছো কেন? আমি কিন্তু তোমাকে রাগানোর জন্য কিছু বলেনি। যাইহোক, তোমার প্রথম দুটি বাক্যের সাথে একমত। আমিও সবকিছু জানি না এবং জানতেও চাইনা। কিন্তু তৃতীয় বাক্যের সাথে সহমত পোষণ করতে পারলাম না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জানতে চাও না বুঝলাম। কিন্তু প্রয়োজনের নির্ধারণ করেছো কিসের ভিত্তিতে? আচ্ছা থাক জবাব দিতে হবে না। তৃতীয় লাইন তুমি না তোমার রাগ বলেছে। এই লাইন তাই ছেড়ে দেয়াই ভালো। তবে আসল কথা কি জানো? পৃথিবীতে এত কিছু জানার আছে এক জীবনে কারো পক্ষেই সব জেনে ফেলা সম্ভব নয়।
জীবন চলার পথে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ তার দ্বারা মনেহয় প্রয়োজন নির্ধারণ করা যায়।
তাই? গেলে তো ভালোই। আচ্ছা পাঁচ বছর পরে তোমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলো শুনি।
পাঁচ বছর পরের কথা এখন বলবো কিভাবে?
সে কি এই না তুমি বললে সারাজীবনের প্রয়োজনকে ছকে বেঁধে ফেলা সম্ভব? ছক দেখে পাঁচ বছর পরের হিসাবটা বলতে তো খুব বেশি কষ্ট হবার কথা নয়।
হেসে ফেলেছিল নূহা। সেই হাসি ঠোঁটে মেখেই অতীত থেকে বাস্তবে ফিরে এলো জাপটে ধরা জিশানের স্পর্শে। ছুটে এসে নূহাকে জাপটে ধরে জিশান আনন্দিত কন্ঠে বলল, মা দেখো বাগান থেকে একদম তাজা স্ট্রবরী নিয়ে এসেছি তোমার জন্য। চলো সবাই মিলে খাবো।
জিশানের হাত থেকে স্ট্রবরীর ঝুড়ি নিয়ে নূহা হেসে বলল, হ্যা চলো আমরা সবাই টেবিলে গিয়ে বসি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন