রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

নিয়তি......১



("নিয়তি" অন্যরকম একটি ভালোবাসার কাহিনী। যে কাহিনীর চরিত্ররা নিয়তির রঙে রাঙিয়ে শিখিয়ে যাবে কাউকে ভালোবাসার জন্য তার কাছে থাকা জরুরি নয়, তার প্রতি ভালোবাসা থাকাটা জরুরি...

"নিয়তি" একে অন্যেকে ছাড়া বেঁচে থাকাটাও দুঃস্বপ্ন ভাবা দুজন মানুষের বিচ্ছেদ, অতঃপর সেই বিচ্ছেদের সাথেই খুশি মনে জীবন পথে এগিয়ে যাবার কাহিনী...

"নিয়তি" আলাদা হয়েও দুজন মানুষের তাদের সন্তানদের মাঝে একাকার হয়ে মিশে থাকার কাহিনী...

"নিয়তি" বাবা-মা আর সন্তানদের অপূর্ব এক বন্ধুত্বময় ভালোবাসার কাহিনী। যে কাহিনীতে কখনো বাবা-মা সন্তানদের খুশির জন্য নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য হাসতে হাসতে ত্যাগ করে দেয়, ত্যাগের উপলব্ধি ছাড়াই। আবার কখনো সন্তানরা প্রত্নতাত্ত্বিক হয়ে সুখ খুঁজে বের করে বাবা-মা’র জন্য অতীতের মাটি খুঁড়ে...

"নিয়তি" দুনিয়ার জীবনের মূল গন্তব্য হাসিলের লক্ষ্য, দুনিয়াবী চাওয়া-পাওয়ার সম্মুখে দৃঢ় মনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার কাহিনী...

"নিয়তি" নিয়তিকে খুশি মনে নেবার মাঝেই যে কল্যাণ সেই কাহিনী...

"নিয়তি" মূলত পরকালের সুন্দর জীবনের প্রতীক্ষার কাহিনী...) 


===========

বাবা তোমার জন্য চা নিয়ে এসেছি। বাক্যটা শুনতে পেলেও আকাশ থেকে চোখ সরালেন না আজাদ সাহেব। এতক্ষণ অভিমান মনের মধ্যে খণ্ড খণ্ড হয়ে এলোমেলো ভেসে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু মেয়ের কণ্ঠ শোনার সাথে সাথে ঝট করে সব একসাথ হয়ে ঘন কালো বর্ষণমুখী মেঘমালাতে রুপান্তরিত হলো। কাঁধে হাতের স্পর্শ টের পেলো! সাথে ভেসে এলো, বাবা ও বাবা আমি সরি তো! এত্তোগুলা সরি। কণ্ঠস্বর যতদূর সম্ভব গম্ভীর করে আজাদ সাহেব বললেন, নুহা বিরক্ত করিস নাতো আমাকে। যা এখান থেকে।  

আচ্ছা ঠিকআছে চলে যাচ্ছি আমি। কিন্তু তুমি একটু আমার দিকে তাকাও না বাবা। 

আমার এখন সময় নেই তোর দিকে তাকানোর। তাছাড়া তোর দিকে তাকালেই আমার রাগ চলে যাবে।

নুহা হাসতে হাসতে বলল, তোমার রাগ তো তখনই চলে গিয়েছে যখন আমি বাড়িতে ঢুকেছি। এখন তোমার  মনের মধ্যে যা উড়ে বেড়াচ্ছে সেটা হচ্ছে জোনাকি পোকা। পোকা হলেও যার আলো আছে। মানে হচ্ছে রাগ হলেও সেটা ভালোবাসাতে ভরপুর।   

এবার ঘুরে মেয়ের দিকে তাকালেন আজাদ সাহেব। মেয়ের হাসি ভরা মুখ দেখে সাথে সাথেই মনটা খুশিতে ভরে গেলো। দুনিয়ার সবার উপর রাগ করে থাকতে পারলেও মেয়ের উপর তিনি কখনই রাগ করে থাকতে পারেন না। অথচ সবচেয়ে বেশি রাগ করার মত কাজ এই মেয়েটাই করে। হাত বাড়িয়ে মেয়ের কান টেনে ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললেন, তোর সাথে আমার চুক্তি কি ছিল?

নুহা বলল, সরি বললাম তো বাবা। আর এমন হবে না কখনো। আমি অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে তোমাকে একটি করে চিঠি লিখবো ইনশাআল্লাহ। এখন তো কান ছাড়ো।  

মেয়ের কান ছেড়ে কাছে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে অভিমান ভরা কণ্ঠে আজাদ সাহেব বললেন, তুই জানিস না যে তোকে না দেখে থাকতে আমার কত কষ্ট হয়? কিন্তু যখন তোর চিঠি পাই মনেহয় তুই’ই যেন পাশে বসে কথা বলছিস। অথচ তিন সপ্তাহ না তুই নিজে দেখা করতে এসেছিস, না তোর কোন চিঠি এসেছে।  

আমি নানান ঝামেলায় ছিলাম বাবা। নয়তো তুমিই বলো আমিও কি পারি তোমাকে না দেখে থাকতে? আর তোমাকে মনের সব কথা না বলতে পারলে আমিও শান্তি পাইনা।

আজাদ সহেব হেসে বললেন, হয়েছে আর আমাকে পটানোর চেষ্টা করতে হবে না। তোর এইসব ডায়লগ এখন আমার মুখস্ত হয়ে গিয়েছে। তুই মা বড়ই নিষ্ঠুর স্বভাবের একটা মেয়ে। আর যত বড় হচ্ছিস তোর নিষ্ঠুরতাও বাড়ছে।

বাবা তুমি কিন্তু ভুল বলছো। আমি এখন বড় হচ্ছি না বরং বুড়ি হচ্ছি দিন দিন। তুমি জানো সেদিন আমার মাথায় তিনটা পাকা চুল দেখেছি! জানার তো কথা। আমি তো পাকা চুল দেখে পরিবারের সবাইকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম।

আজাদ সাহেব হাসতে হাসতে বললেন, তোর ম্যাসেজ দেখে আমি যখন তোর মামণিকে বললাম, সুরাইয়া শুনেছো নুহার নাকি তিনটা চুল পেকেছে! তোর মামণি কিছুক্ষণ কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, তোমার ফাজিল মেয়ে আমাকে ফোন করে বললো, মামণি বিরাট সুখবর আছে বাড়ির সবার জন্য মিষ্টি বানাও। আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই ভালো কিছু হয়েছে। মিষ্টি বানালাম সবার জন্য। এরপর তোমার মেয়ে আমাকে জানালো সেই বিরাট সুখবর হচ্ছে তার তিনখানা চুলে পাক ধরেছে। ভাগ্যিস ঐ ফাজিল মেয়ে আমার সামনে ছিল না। নয়তো ওকে আমি বোঝাতাম।

নুহা হাসতে হাসতে বলল, মামণিকে যন্ত্রণা করতে যে কি ভীষণ রকম মজা বাবা! উফফ...তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। 

আজাদ সাহেব হেসে বললেন, তুই আসলেই অনেক দুষ্টু একটা মেয়ে বুঝলি। 

নুহা হেসে বলল, হুমম...বুঝলাম। তবে এখন আর দুষ্টুমি করবো। তোমার সাথে নক্ষত্র দেখবো আজ।

আজাদ সাহেব বললেন, তুই নক্ষত্র দেখবি? আমাকে পটানোর জন্য তাই না? তবে যত কিছুই করিস না কেন তুই আমাকে তিন সপ্তাহ চিঠি লিখিসনি একথা আমি কক্ষনো ভুলবো না।    

নুহা বাবার গলা জড়িয়ে ধরে আদুরে গলায় বলল, বললাম তো বাবা আর কক্ষনো এমন হবে না। ওয়াদা করছি আর কখনো তোমাকে চিঠি লিখতে ভুলে যাব না ইনশাআল্লাহ। এই বারের মত মাফ করে দাও আমাকে।

আজাদ সাহেব হেসে বললেন, আচ্ছা যা মাফ করে দিলাম এবারের মত। কিন্তু মনে রাখিস আর যদি কখনো প্রতি সপ্তাহে অন্তত তোর একটা চিঠি না আসে। তাহলে আমি এত রাগ করবো যে আর কথাই বলবো তোর সাথে। কঠিন আড়ি হয়ে যাবে একদম। ছোটবেলায় তুই যেমন কিছু হলেই আঙ্গুল উঁচু করে গাল ফুলিয়ে বলতি, আড়ি আড়ি আড়ি। আমি তেমন করে বলবো, আড়ি আড়ি আড়ি। 

হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো নুহার। কানে তখনো ভেসে আসছিল বাবার বলা কথাগুলো। কাজ করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল টেরই পাইনি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত পনে তিনটা বাজে। স্বপ্নের আবেশ মনের মধ্যে কেমন যেন আনন্দময় ছড়িয়ে দিয়েছে। চোখ বন্ধ করে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো নুহা। টের পেলো দু’চোখের কোণ বেয়ে অঝর ধারায় নেমে অশ্রু। বার বার মনে হতে লাগলো কেন ভেঙ্গে গেলো এই আনন্দময় স্বপ্নটা। আরো কিছুটা ক্ষণ চুপ করে বসে থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো। এরপর দরজা ঠেলে বেড়িয়ে এলো কেবিন থেকে। ধীর পায়ে এগিয়ে চললো আইসিইউ’র দিকে।

@        

স্কুলে পড়ার সময় “তোমার জীবনের লক্ষ্য কি” রচনা লিখতে গিয়ে মহা বিপদে পড়ছিল নূহা। বাবার কাছে রচনা লিখার ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে নূহাকে কাছে টেনে নিয়ে বলেছিলেন, লেখ তোর জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে অন্তত একটি মানুষের জন্য হলেও লাইফ সাপোর্টের কাজ করা। নূহা অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিল, এটা আবার কেমন লক্ষ্য? বাবা নূহার মাথায় হাত বুলিয়ে হেসে বলেছিলেন, আমার কি মনেহয় জানিস মা? প্রতিটি জীবনের দাবী হলো অন্যে কোন জীবনের জন্য অবলম্বন হওয়ার চেষ্টা করা। অর্থাৎ, সাধ্যানুযায়ী অন্যেকে সাপোর্ট করা, সাহায্য করা। আর এই নিয়ম মেনে যদি প্রতিটা মানুষ আরেকটি মানুষকে সাপোর্ট করতে পারে তাহলে দুনিয়াতে অসহায় মানুষের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে যাবে। গন্তব্যের সন্ধানে পথ তো চলতেই হয়। তাই পথ চলতে চলতে পাশের ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়া পথিকের পানে হাত বাড়িয়ে দেয়াটা খুব কঠিন কোন কাজ আসলে না। এরজন্য শুধু একটু ইচ্ছার প্রয়োজন। নিজের আলোর দ্বারা কারো অন্ধকার ভুবনে ছোট্ট একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলে নিজের আলো কমে যায় না। বরং আশপাশটা আলোকিত হলে নিজের চলার পথটাও মসৃণ হয়।

জ্ঞান হবার পর থেকে সবসময় বাবাকে অন্যের জন্য লাইফ সাপোর্টের কাজ করতে দেখেছে নূহা। কারো জন্য কিছু করতে পারাটা অনেকটা নেশায় পরিণত হয়েছিল বাবার। কত ভুল মানুষকেও সাহায্য করেছেন এই নেশা পূরণ করতে দিয়ে। কিন্তু তাতে মোটেই দমে যাবার মত পাত্র বাবা ছিলেন না। সেসব ভুলকে নিয়ে এতটুকু হতাশা বা আক্ষেপ করতে কখনো দেখা যায়নি বাবাকে। বরং হেসে বলতেন, ঐ মানুষটা হয়তো জীবনে শুদ্ধ হবার সুযোগ পায়নি তাই আমাকে ধোঁকা দিয়ে আরেকটা ভুল করেছে। এমনও তো হতে পারে এই ভুলটা তার মাঝে আত্মোপলব্ধি জাগিয়ে দেবে! আর এমনটা যদি নাও হয় তাতেই বা ক্ষতি কি? আল্লাহ আমার কাজের নিয়ত দেখবেন, ফলাফল না। বাবার এই গুণটা আয়ত্ত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে নূহা অনবরত এখনো পর্যন্ত। অবশ্য জীবনের প্রতিটি শিক্ষা বাবার হাত ধরেই শিখেছে নূহা। সেটা কারো জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কিছু করা হোক, নিজের প্রবৃত্তির সাথে লড়াই করা হোক কিংবা প্রকৃতির রঙ, রূপ ও বৈচিত্র্যকে ভালোবাসা, খোলা চোখে স্বপ্ন দেখা, জীবনের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট ছোট্ট খুশিগুলোকে খুঁজে নেয়া। কোনদিন কল্পনাও করেনি যে মানুষটার সারাটি জীবন গিয়েছে অন্যের জীবনের জন্য অবলম্বন হবার চেষ্টা ও সাধনাতে, সেই মানুষটাকেই একদিন লাইফ সাপোর্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। আর সে সাপোর্ট কোন মানুষের না বরং যন্ত্রের।           
কাঁচের ছোট্ট জানালা দিয়ে বাবার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো নূহা। প্রাণপণ চেষ্টা করছে কিন্তু অশ্রুরা যেন পণ করেছে আজ কোন বাঁধাই মানবে না! ঝরে যাবে অঝোর ধারায়! বেদনার কালো মেঘ যখন চোখের জল হয়ে ঝরে যায়, মনের আকাশ অনেকটাই স্বচ্ছ হয়ে যায়। নূহা চায় না তার মনের এই মেঘ কেটে যাক। একটুও কম করতে চায় না বাবার জন্য তার মনের আকুলতা। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো। বাবার কাছে গিয়ে বসে চেহারার দিকে তাকাতেই চোখ চলে গেলো অক্সিজেন মাক্সের উপর। মনে পড়লো বাবার প্রতিমাসে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির কথা। প্রতিমাসে বাবা পরিবারের সবার জন্য একটা করে বৃক্ষ লাগান। আগে ছেলেমেয়েদেরকে সাথে নিয়ে লাগাতেন আর এখন লাগান নাতি-নাত্নীদেরকে সাথে নিয়ে। বাবার কথা হচ্ছে সবার উচিত নিজ নিজ বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা। এই নিয়ে প্রায়ই মামণির সাথে তুমুল ঝগড়া হয়। মামণি বলেন, মানুষের কি ক্ষমতা আছে নিজের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার? বাবা জবাবে বলেন, মানুষের তো নিজের রিজিকের ব্যবস্থা করার ক্ষমতাও নেই। এখন কেউ যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে আর এই কথা ভাবে যে, আল্লাহ রিযিক লিখে রাখলে সে পেয়েই যাবে। তাহলে কি রিযিক হেঁটে হেঁটে তার কাছে চলে আসবে? অক্সিজেনের ব্যাপারটাও তাই। 

হাসি ফুটে উঠলো নূহার মুখে। বাবার যুক্তিগুলো খুব মজার থাকে সবসময়ই। কিন্তু মামণি কখনোই মানতে চান না বাবার যুক্তি। মিনিটে মিনিটে তাই দুজনের ঝগড়া হয়। তবে একে অন্যেকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না দুজন। নূহা আলতো করে বাবার হাতের উপর হাত রেখে বলল, কল্পনার রাজ্যে ঘুরে ঘুরে নিজের জন্য কত শত দৃশ্য সংগ্রহ করেছি আমি। কিন্তু জানো বাবা আমি পাশে থাকবো আর তুমি আমার সাথে কথা বলবে না এমন দৃশ্য আমার কল্পনাতেও কখনো আসেনি। বাবা তুমি কেমন আছো? আমার উপর কি অভিমান করে আছো? প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি চিঠি অবশ্যই লিখবো কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আমি তোমা্কে চিঠি লিখিনি। আবারো আমি কথার বরখেলাফ করেছি। বাবা আমি খুব সরি। এই যে এত্তো গুলা সরি। দেখো আর এমন হবে না। আমি আর ভুলে যাবো না চিঠি লিখতে। আমার মাথায় হাত রেখে একটু দু'আ করে দাও না বাবা। সবসময় যেভাবে করতে। আমার মাথায় অনবড়ত হাত বুলাতে বুলাতে বিড়বিড় করতে আর আমি একটু পর পর বিরক্ত কণ্ঠে বলতাম,  উফফ... কি এত বলছো যে দু’আ শেষই হচ্ছে না?  তুমি ঠোঁটের কাছে আঙ্গুল নিয়ে ইশারায় আমাকে চুপ করতে বলতে।   

ভেতর থেকে উঠে আসা অপ্রতিরোধ্য কান্নাকে সামলাতে বাইরে বেড়িয়ে এলো নূহা। দরজায় কাছে এসে আবারো পেছন ফিরে তাকালো বাবার দিকে। নূহার চোখ থেকে ঝরে পড়া অশ্রু বিন্দু শুধু একটি কথাই যেন বলছিল, আমার প্রতিটা প্রহর তোমার প্রতীক্ষায় কাটছে বাবা...... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন