শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

খুঁজে ফিরি সত্যের আঙিনা...২৪

  


ভালোবাসার সুবাসে সুবাসিত শব্দগুলো পড়তে পড়তে কখন যে দু' চোখ ছাপিয়ে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে শুরু করেছে টেরই পাইনি নূহা কাঁধে রাহাতের স্পর্শ অনুভব করে চোখ তুলে তাকালো দুশ্চিন্তা দরদ ভরা চোখে আকুল হয়ে তাকিয়ে আছে রাহাত কি হয়েছে, কেন কান্না করছে নানান প্রশ্নের ভীতিকর গোলকধাঁধায় ঘুরছে রাহাত দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো হেসে ফেললো নূহা চোখ মুছে নিয়ে রাহাতকে ধরে পাশে বসিয়ে হাসতে হাসতে বলল, এতটা ঘাবড়ে যাবার মত কিছুই হয়নি কারো ভালোবাসার প্রাপ্তিতে মন হয়েছে বাঁধনহারা, দু'চোখ ছাপিয়ে নেমেছে তাই আনন্দাশ্রুর ধারা

হাসি
ফুটে উঠলো রাহাতের চেহারাতেও। বলল, আচ্ছা তাই বলো। আমি তো আরো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
জানতে চাইলে না কার ভালোবাসার ছোঁয়ায় মনের আকাশ আজ শ্রাবণ ছোঁয়া? দুষ্টুমি মাখা স্বরে প্রশ্ন করলো নূহা।

রাহাত
হেসে বলল, বলার ইচ্ছে থাকলে আমার বৌ জানতে না চাইলেও জোড় করে শোনাবে। ইচ্ছে না থাকলে বার বার প্রশ্ন করেও কোন লাভ হবে না। তাই প্রশ্ন করা ছেড়ে দিয়ে বৌয়ের মরজির কাছে নতি স্বীকার করে নিয়েছি।

আচ্ছা
কখনো কি জোর করে কথা আদায় করে নিতে ইচ্ছে করে না তোমার?

উহু
করে না।

কেন
?

কারণ
আমার উস্তাদজ্বি বলেছেন, কখনো কখনো মানুষকে কিছু কাজ নিজের জন্য নয়, অপরের জন্য করতে হয়, অপরের জন্য মেনে নিতে হয়। ঐসব কাজ করার বা মেনে নেয়ার মাঝে সেভাবে করে হয়তো মনের খুশি সামিল থাকে না। উল্টো মনের মধ্যে খুঁতখুঁতে আবহ তৈরি হয়। কিন্তু চুপচাপ মেনে নেবার ফলে পাশের জনকে হয়তো বলার অস্বস্থির স্বীকার হতে হয় না। সে হয়তো অপছন্দনীয় কিছু কিংবা যা বলতে চাইছে না এমন কিছু বলতে হয়নি সেজন্য খুশি হয়। আর আমাদের নিশ্চুপে কিছু করে যাওয়া কিংবা মেনে নেয়ার ফলে যখন আমাদের জীবনের সাথে জুড়ে থাকা মানুষরা খুশি হয় ,তখন কোন অনুশোচনাও থাকে না স্যাক্রিফাইসের জন্য। সব কাজ করে হয়তো আনন্দ মেলে না, কিন্তু শান্তি পাওয়া যায়। কারণ আমি আনন্দ পাইনি তো কি হয়েছে? আমার সাথে জুড়ে থাকা মানুষেরা তো আনন্দে আছে।

নূহা
হেসে বলল, ধন্য উস্তাদের ধন্য শিষ্য। তবে সত্যিই নিজের সাথে জুড়ে থাকা মানুষেরা যখন ভালো থাকে, তখন অনেক কষ্টের মাঝেও সুখ সুখ অনুভূতি ঘিরে থাকে মনকে। তবে এটাও আবার ঠিক, সব আনন্দ ফিকে লাগে যখন প্রিয় কেউ কষ্টে আছে উপলুব্ধ হয়। এটাই মনেহয় সম্পর্কের বন্ধনে বিদ্যমান ভালোবাসার প্রমাণ। অন্যের খুশির মাঝে নিজের খুশি খুঁজে নেয়া, অন্যের বেদনায় বেদনাক্ত হয়ে ওঠার এই যে প্রবণতা। এটাই রাঙিয়ে যায় জীবনকে ভালোবাসা ত্যাগের মহিমায়।

আলহামদুলিল্লাহ
আমিও এখন এমন করে ভাবতে পারি। আমিও অন্যকারো মুখে হাসি দেখে তৃপ্তির হাসি হাসতে পারি। নিজের চেয়ে অন্যের সাচ্ছন্দের কথা আগে ভাবতে পারি। এবং যখন থেকে এই গুণটাকে নিজের মাঝে ধারণ করতে পেরেছি। আমার ভালো থাকাটা, স্বস্থিতে থাকাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ
আমিও অনেক আগেই এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। যদি আমরা অন্যের স্বস্থি ভঙ্গের কারণ হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি। আমাদের নিজ জীবনের স্বস্থি অটোম্যাটিক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আসলে নিজে ভালো থাকার জন্য অন্যকে ভালো রাখাটা অতীব জরুরি। এই সহজ সত্যটা সম্পর্কে অবগত থাকি না বিধায়ই আমরা অন্যের কষ্টের বদলে নিজের সুখ কিনতে চাই। যাইহোক, আমি আসলে আমার ছোটবেলার ডায়রি পড়ছিলাম। জীবনে আসা প্রতিটা সুন্দর মূহুর্তকে ধরে রাখাটা সবচেয়ে প্রিয় শখ ছিল আমার। সেইসব সুন্দর মূহুর্তের স্পর্শে মনের বিষণ্ণতা কাটাতে চেষ্টা করছি।

মনের
বিষণ্ণতা? আবারো কন্ঠে উদ্বেগ ফিরে এলো রাহাতের।

কিছুক্ষণ
নীরব থেকে নূহা বলল, “আমাদের জীবনের সবচেয়ে অবধারিত ঘটনা হচ্ছে মৃত্যু। তাই একটি মুহুর্তকেও এলোমেলো, অগোছালো, উদ্দেশ্যহীন ভাবে কাটানোর কোন সুযোগ নেই। তাই কোন ভাবনা যদি স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে তবে সেটা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। কেননা কোন কিছুর বিনিময় জীবনের স্বাভাবিকত্বের সাথে হতে পারে না।এই কথাগুলো আমাদের নিউরো সাইকোলজির প্রফ বলেছিলেন আমাদের এক ক্লাসমেটকে। ক্লাসমেটটি তার পারিবারিক কিছু জটিলতার ভাবনাতে এতোই এলোমেলো হয়ে পড়েছিল যে তার প্রভাব পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলো। প্রফের কথাটি শোনার পর শুধু সেই ক্লাসমেটই নয় আমরা সবাই সতর্ক হয়েছিলাম আমাদের সেইসব ভাবনার ব্যাপারে যা অকারণ জটিলতার বীজ বুনে চলছিল আমাদের জীবনে। আমার সবচেয়ে প্রিয় টিচারদের একজন ছিলেন উনি। শুধু তাই নয় যাদেরকে দেখে শিখেছিলাম জীবনকে জীবনের মত করে যাপন করতে, যাদের কাছে জেনেছিলাম জীবনে সুখী হবার সবচেয়ে শর্টকার্ট ফলপ্রসূ টিপস হচ্ছে,সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা উনি তাদেরও একজন ছিলেন।

ছিলেন
? ছিলেন বলছো যে? কিছুটা অবাক হয়েই প্রশ্ন করলো রাহাত।

রাহাতের
প্রশ্ন শুনতেই পাইনি এমন ভান করে নিজের কথা বলে যেতে লাগলো নূহা। বাবা সেই ছোটবেলা থেকেই বার বার বলতেন, কখন যে জীবন বৃক্ষ থেকে হঠাৎ কে ঝরে যাবে সেটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। তাই আপনজন, প্রিয়জন, পছন্দের মানুষদেরকে কখনোই যথাযথ মূল্যায়ন করতে অবহেলা করবে না। কিন্তু তারপরও অবহেলা যে হয়েই যায় সেটা আবারো অনুভব করলাম আমাদের নিউরো সাইকোলজির প্রফের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর।

তোমাদের
নিউরো সাইকোলজির প্রফ মারা গিয়েছেন? ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কবে মারা গিয়েছেন উনি?

গত
পরশু রাতে। তুমি শহরের বাইরে ছিলে তাই আর জানাইনি। জানো প্রফের মৃত্যু সংবাদটা শোনার সাথে সাথে প্রফের বলা একটা কথা মনে পড়েছিল।নূহা খুব ইচ্ছে করছে তোমার হাতের মাটন বিরিয়ানি, চিকেন তান্দুরী আর গাজরের লাড্ডু খেতে শেষ যেদিন কথা হয়েছিল আমার হাতের খাবার খেতে ইচ্ছে করছে এই আবদার করেছিলেন প্রফ। আবদারটা রাখার সুযোগ পেলাম না আমি। একবার কোলকাতায় গিয়েযখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন...” এই রবীন্দ্র সঙ্গীতটি শুনেছিলেন প্রফ। ফিরে এসে ক্লাসে জানতে চাইলে অর্থ বুঝিয়ে বলার পর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেছিলেন, আচ্ছাযখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটেতোমরা কি আমাকে মনে রাখবে? তোমরা আমাকে মনে রাখতে পারো এমন কিছু তোমাদেরকে শেখাতে পেরেছি? এরপর থেকে প্রতি ক্লাসের পরই উনি আমাদের সবার কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় জানতে চাইতেই, আমাকে তোমরা মনে রাখবে এমন কিছু আজ শেখাতে পেরেছি?! আমরা কখনোই খুব একটা সিরিয়াসলি নেইনি প্রফের প্রশ্নটিকে। বেশির ভাগ সময়ই হেসে উড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনার মৃত্যু সংবাদ শোনার পর প্রথমেই কানে বেজে উঠেছিলখুব ইচ্ছে করছে তোমার হাতের মাটন বিরিয়ানি, চিকেন তান্দুরী আর গাজরের লাড্ডু খেতে চোখ থেকে ঝরঝর অশ্রু নেমে এসেছিল। বলতে বলতে নূহার দুচোখ বেয়ে ঝরে পড়লো অশ্রুধারা।

রাহাত
হাত বাড়িয়ে নূহার হাতের উপর রেখে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলো।

চোখের
অশ্রু মুছে নিয়ে নূহা বলল, তুমি তো জানো এমনটা আমার দ্বারা কখনোই হয় না সাধারণত। কেউ কিছু খেতে চাইলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি তাকে সেটা রান্না করে খাওয়াতে চেষ্টা করি। জানি না কেন প্রফের ক্ষেত্রে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আজ করবো কাল করবো করে করে শেষপর্যন্ত আর উনার জন্য রান্না করাই হলো না।আমাকে তোমরা মনে রাখবে এমন কিছু আজ শেখাতে পেরেছি’? এই প্রশ্নটার কথা মনে পড়ার পর বেদনার আরেকটি তীব্র স্রোত বয়ে গিয়েছিল অন্তর জুড়ে। কেন এই ছোট সহজ প্রশ্নটির জবাব নিয়ে এত হেয়ালি করেছিলাম? বেদনার সাথে যুক্ত হয়েছিল অপরাধবোধও। অবুঝের মতো ছুটে গিয়েছিলাম রান্নাঘরে। মাটন বিরিয়ানি, চিকেন তান্দুরী, গাজরের লাড্ডুর সাথে চমচম আর বোরহানিও তৈরি করলাম। প্রফ আমার হাতের চমচম আর বোরহানিও অনেক পছন্দ করতেন। রান্না শেষ করে মেইল লিখতে বসলাম। কত কিছু শিখেছি গত বারো বছরে প্রফের কাছে। এক এক করে সব লিখলাম। প্রফকে দেখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা শিখেছিলাম সেটা হচ্ছে মানুষের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখা। দীর্ঘ এত বছরে এমন একবারও হয়নি উনি কারো ব্যাপারে সামান্য নেতিবাচক কিছু বলেছেন। কিংবা উনার কাছে কেউ কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলতে চাইলে সেটাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। আমাদের এক ক্লাসমেট যখন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সবার সম্পর্কে ওর নেতিবাচক ধারণার কথা বলছিল প্রফ বলেছিলেন, সারাজীবন যাদের সাথে কাটাতে হবে তাদের ব্যাপারে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। সময় নাও। দেখবে সময় ধারণাকে উন্নত করে তুলবে ধীরে ধীরে।

হ্যা
তুমি আমাকে বলেছিলে প্রফের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে।

হুম
! সর্বক্ষণ একজন মানুষের এতটা ইতিবাচক থাকাটা মুগ্ধ করতো আমাকে। বেশ কয়েকমাস আগে একজন ব্যক্তির কিছু কথা কাজের কারণে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধে চিড় ধরে গিয়েছিল। প্রফ বোঝাতে চেষ্টা করছিলেন কারো একটা বা দুটা ভুল আচরণের জন্য তার উপর নেতিবাচকতার সাইনবোর্ডই লাগিয়ে দেয়াটা অন্যায়। কেউ ভুল ত্রুটির উর্দ্ধে নয় এটা সবসময় মনে রাখা উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা যাদেরকে পছন্দ করি তাদেরকে মনের সর্বোচ্চ স্থানে জায়গা দিয়ে ফেলি। তাই তাদের সামান্য চ্যুতিও আমাদেরকে মুষড়ে দেয়। আর চ্যুতি যখন ক্রমাগত হতে থাকে তখন শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। অবশ্য শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিরও সচেতন থাকা অবশ্যক। কেননা একটা আচরণের দ্বারা যদি আমি কারো মনে শ্রদ্ধার বীজ বপন করি। তখন সেই বীজটা যাতে অক্ষত থাকতে পারে, বীজ থেকে চারা বের হতে পারে, চারা গাছে রূপান্তরিত হতে পারে সেই দায়িত্বটাও আমারই পালন উচিত। সবসময় শুনেছি শ্রদ্ধা অর্জন করার চেয়ে টিকিয়ে রাখাটাই বেশি কঠিন। প্রফের কাছ থেকে জেনেছিলাম নিজ আচরণ দ্বারা কারো মনে যদি শ্রদ্ধার জন্ম দেই তাহলে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও আমার। এমন ছোট-বড় আরো কতই কিছুই না শিখিয়ে গিয়েছেন উনি আমাদেরকে। যা যা মনে পড়েছে এক এক করে সব লিখে মেইল পাঠিয়ে দিয়েছি প্রফকে। জানি সেই মেইল উনি হয়তো দেখবেন না কোনদিন। তবুও আমি এমনটা করেছি নিজের মনের স্বস্থির জন্য। কেননা মনে স্বস্থি না থাকলে জীবনে সব থাকতেও কোথাও শান্তি মিলে না এটা আমার খুব ভালো মতই জানা আছে। তাই সদা সতর্ক থাকতে চেষ্টা করি যাতে কিছুতেই মনের স্বস্থি বিঘ্নিত না হয়। কিন্তু সবসময় পারিনা। প্রফ যেহেতু আমার কলিগও ছিলেন এমন বেশ কয়েকবার হয়েছে উনার উপর রেগে গিয়েছি, যা বলেছেন তার উল্টো বলেছি, আমার যুক্তির সাথে মেলেনি তাই কেয়ার করিনি উনার কথা। সব বার হয়তো তেমন করে সরি বলাও হয়নি। গত তিন-চার মাস থেকে খুব কথা বলতে চাইতেন আমার সাথে। আমারও নানান ঝামেলা যাচ্ছে তাই নিজে তো ফোন দিতামই না উনি করলেও তেমন করে কথা বলা হয়ে ওঠেনি যেমনটা করে উনি বলতে চাইতেন। আজ এসব স্মৃতি মনেকরে অপরাধবোধে ভোগা, দুঃখিত হওয়া আসলে অর্থহীন। কেননা আমার কোন অনুভূতিই উনার কাছে পৌছোবে না। কথায় বলে জীবনে সুযোগ, সম্ভাবনা একবারই আসে। হেলায় হারিয়ে ফেললে তাকে আর পাওয়া যায় না জীবনে। কিন্তু আপনজন, প্রিয়জন, পছন্দের মানুষদের ঘিরে স্মৃতিগুলোকে সুন্দর করার সুযোগ বার বার আসে, আর আসতেই থাকে আমাদের জীবনে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই আমরা সেই সুযোগকে কাজে লাগানো তো দূরে থাক, সেটা যে একটা সুযোগ এটাই অনুভব করতে পারি না। সমস্ত অনুভব, উপলব্ধি একসাথে মনে এসে ভিড় করে যখন সেই মানুষগুলো আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় অনেক দূরে। অথচ এই মানুষগুলোই জীবন যখন তপ্ত দাহ নিয়ে হাজির হয়, প্রশান্তিকর ঘন ছায়া রূপে উদ্ভাসিত হন!

বুঝতে
পারছি অনেক কষ্ট হচ্ছে তোমার। কিন্তু আমার মতো তুমিও জানো এসব ভেবে মন খারাপ করাটা অর্থহীন। তারচেয়ে এই মূহুর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে অর্থহীন যেই জিনিসটা সেটা করা উচিত।

কি
সেটা?

প্রফের
জন্য বেশি বেশি করে দোয়া। তুমিই তো বলো যখন কারো জন্য আমাদের কিছুই করার থাকে না। তখনো ভীষণ শক্তিশালী একটা জিনিস করার থাকে। সেটা হচ্ছে, দোয়া। মাগরীবের নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে প্রায়। চলো নামাজের প্রস্তুতি নেই আমরা।

নূহা
হাসি মুখে বলল, হ্যা চলো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন